Header Ads

Header ADS

মহাভারতের অর্জুন ARJUN MAHABHARAT

 অর্জুন



অর্জুন  মহাভারত মহাকাব্যের একটি চরিত্র। তিনি পঞ্চপান্ডবের অন্যতম। 'অর্জুন' শব্দের অর্থ 'উজ্জ্বল', 'জাজ্বল্যমান', 'সাদা' অথবা 'রূপালি'। তিনি একজন অব্যর্থ ধনুর্বিদ। তাকে পার্থ এবং ধনঞ্জয় নামেও ডাকা হয়। অর্জুন এর আরো বেশ কিছু নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু নাম হল – অরিমর্দন, কপিকেতন, কপিধ্বজ, কিরীটী, কৃষ্ণসখ, কৃষ্ণসারথি, কৌন্তেয়, গাণ্ডিবধন্বা, গাণ্ডিবী, গুঁড়াকেশ, চিত্রযোধী, জিষ্ণু, তৃতীয় পাণ্ডব, ধনঞ্জয়, পার্থ, ফল্গুন, ফাল্গুনি, বিজয়, বীভৎসু, শব্দবেধী, শব্দভেদী, শুভ্র, শ্বেতবাহন , শ্বেতবাহন, সব্যসাচী। তার মা কুন্তি তাকে মন্ত্রবলে দেবরাজ ইন্দ্রের নিকট হতে লাভ করেন। তিনি দ্রোনাচার্যের  থেকে ধনুবিদ্যা লাভ করেন। পাণ্ডব ভ্রাতৃগণের মধ্যে তার স্থান তৃতীয়। অর্জুন পান্ডু  ও তার জ্যৈষ্ঠা মহিষী কুন্তীর  পুত্র। অর্জুনকে নারায়ণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা নর - নারায়নের অবতার  মনে করা হয়। মহাভারতে তাকে 'চতুর্থ কৃষ্ণ' বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কৃষ্ণ  ছিলেন তার প্রিয় বন্ধু তথা শ্যালক। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সূচনাপর্বে কৃষ্ণ তাকে যে উপদেশাবলি প্রদান করেন তাই ভগবতগীতা  নামে পরিচিত। স্বয়ম্বর সভায় মৎসের চোখে তিরবিদ্ধ করে অর্জুন দ্রৌপদী কে বিবাহ করেন। তারপরেও অবশ্য অর্জুন আরও তিনজনকে বিবাহ করেছিলেন। তারা হলেন কৌরব্যনাগের কন্যা উলুপি (ইনি পূর্ব-বিবাহিতা ছিলেন), মণিপুররাজ চিত্রবাহনের কন্যা চিত্রাঙ্গদা  এবং শ্রীকৃষ্ণ ভগিনী সুভদ্রা । তার চার পুত্রের নাম হল শ্রুতকীর্তি (দ্রৌপদীর পুত্র), ইরাবান্ (উলুপীর পুত্র), বভ্রুবাহন (চিত্রাঙ্গদার পুত্র) ও অভিমন্যু  (সুভদ্রার পুত্র)।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন তার রথের সারথি নিয়োগ করেন মাৎস্য রাজ্য বা বিরাটনগরের রাজা বিরাটের পুত্র উত্তর ও অর্জুনের নিজস্ব মিত্র কৃষ্ণকে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন কৌরবদের অনেক সেনাকে হত্যা করেন। তার হাতে কৌরবদের সেনাপতি ভীষ্ম কে  কে শরশয্যায় নিপাতিত করেছেন। অবশ্য তার জন্য তাকে শিখণ্ডীর  সাহায্য নিতে হয়েছিল।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয়ের অন্যতম কারণ হল অর্জুনের রণনৈপুণ্য। তাছাড়া অর্জুন ভগদত্ত, জয়দ্রথ, কর্ণকে  তিনি বধ করেছেন। কিন্তু ভীষ্মকে শরশয্যায় নিপাতিত করতে তাকে শিখণ্ডীকে সামনে রাখতে হয়েছে। এই অন্যায় যুদ্ধের জন্য বসু দেবতাগণ অর্জুনকে নরকবাসের অভিশাপ দিয়েছিলেন। অভিশাপ কাটাতে বসুদেবগণ বলেন, নিজের পুত্রর হাতে অর্জুনের মৃত্যু হলে অভিসাপ কেটে যাবে। তাই উলুপি কৌশলে বব্রুবাহনকে  দিয়ে অর্জুনের মৃত্যু ঘটায়। 

কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.