Header Ads

Header ADS

বশিষ্ঠ মুনি কে ছিলেন?

বশিষ্ঠ মুনি কে ছিলেন? 




 বশিষ্ঠ সপ্তর্ষি দের একজন হিসেবে পরিচিত। ইনি ঋকবেদের সপ্তম মণ্ডলের ও অন্যান্য বেদের ঋষি। এঁর স্ত্রীর নাম অরুন্ধতী। এছাড়া তিনি অক্ষমালা নামক শূদ্রকন্যার প্রতি আসক্ত হয়ে তার সাথে মিলিত হন। বশিষ্ঠের সংস্পর্শে এসে ইনি পরমগুণবতী নারীরূপ লাভ করেছিলেন। এই ঋষির নামে উত্তর-পূর্ব আকাশে একটি তারা আছে।ব্রহ্মার সপ্তম মানসপুত্র এবং প্রজাপতি। আবার অন্য মতে – কোনো এক যজ্ঞকালে, অপ্সরা উর্বশী'কে দেখে যজ্ঞকুম্ভে আদিত্য ও বরুণের বীর্যপাত হয়। ফলে, যজ্ঞকুম্ভ থেকে বশিষ্ঠ ও অগস্ত্য –এর জন্ম হয়। সে হিসাবে উভয়কেই মিত্র (তেজময় সূর্য) ও বরুণের পুত্র বলা হয়। এর অন্যান্য নাম– অরুন্ধতীজানি, অরুন্ধতীনাথ, অরুন্ধতীসহচর, আপব, উর্বশীয়, কলসী, কলসীসূত, কুম্ভজ, কুম্ভযোনি, কুম্ভসম্ভব, ঘটজ, ঘটযোনি, ঘটোৎভব, মৈত্রাবরুণ, মৈত্রাবরুণি


বাল্মীকি রাময়ণের বালখণ্ডের সপ্তম সর্গ মতে- দশরথের রাজসভার সর্বপ্রধান দুই জন ঋত্বিকের একজন। দশরথ পুত্রকামনায় যে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ সম্পন্ন করেছিলেন, সে যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত হিসাবে যজ্ঞ সম্পন্ন করার জন্য বশিষ্ট দায়িত্ব লাভ করেন। ইনি রাজা হরিষচন্দ্রের কুলপুরোহিত ছিলেন। একবার এই রাজাকে তিনি অতি উত্তম নামে আখ্যায়িত করেন। বিশ্বামিত্রের চক্রান্তে বশিষ্ঠের শত পুত্র নিহত হয়। এরপর প্রবল শোকে বশিষ্ঠ প্রায় উন্মাদ হয়ে যান। এই সংসার তার কাছে শূন্য মনে হয়। নিজের হাত পা বেঁধে নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নদী তাকে গ্রাস করবার পরিবর্তে পরম যত্নে তার পাশ বা বন্ধন মুক্তি ঘটায়। তারপর থেকে সেই নদীর নাম হয় বিপাশা

এরপর বশিষ্ঠ আসেন কুম্ভীর পরিপূর্ণ হৈমবতী নদীর তীরে। মুনিবর মনে করেন এই নদীতে নামলে নিশ্চয় কুমীরের হাতে তার প্রাণনাশ হবে। কিন্তু সেই নদীও নিরাশ করে মহামুনিকে। নদী তার সংকল্প বুঝে চরম আতংকে শতধা হয়ে অর্থাৎ শতভাগে বিভক্ত হয়ে পলায়ন করে। এরপর থেকে সেই নদীর নাম হয় শতদ্রু। নিমির অভিশাপে অশরীরী হয়ে ব্রহ্মদেবের কাছে গিয়ে একটি চেতনাযুক্ত দেহ প্রার্থনা করেন। ব্রহ্মা তখন মিত্রাবরুণের তেজে প্রবেশ করে জন্মগ্রহণ করতে আদেশ করেন। এরপর মিত্রাবরুণ অপ্সরা উর্বশীর সাথে মিলিত হলে- বশিষ্ঠের পুনর্জন্ম হয়। এই কারণে ইনি মৈত্রাবরুণ নামে অভিহিত হন বশিষ্ঠ মুনি

কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.