Header Ads

Header ADS

দশরথ কে ছিলেন? দশরথের রাজ্যের রাজধানীর কি নাম ছিল? who is dasharatha in ramayana

 দশরথ কে ছিলেন?

who is dasharatha in ramayana




     সূর্যবংশীয় রাজা দিলীপের পুত্র রঘু, রঘুর পুত্র অজ ও অজের পুত্র দশরথ । ইনি অযোধ্যার রাজা এবং রাম লক্ষ্মণাদির পিতা । কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা নামে এঁর তিনজন প্রধান মহিষী ছিলেন । বহু বৎসর এঁর কোন পুত্র হয় নি । শান্তা নামে এঁর এক কন্যাও ছিল । দশরথ এই কন্যাকে পরম মিত্র অঙ্গদেশের রাজা রোমপাদের কাছে পৌষ্যপুত্রীরূপে দান করেন । রোমপাদ শান্তাকে বিভাণ্ডক মুনির পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গের সাথে বিবাহ দেন ।

     দশরথ অযযাদ্ধা বা অযোধ্যার রাজা ছিলেন। অযোধ্যা একটি অতি ক্ষুদ্র রাজ্য বা দেশ ছিল, যার আয়তন ৭৪৩ বর্গমাইল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ছিল আরও কম, মাত্র ৪৯৫ বর্গমাইল। যদিও প্রাদেশিক কিছু রামায়ণে বলা হয়েছে, বসুন্ধরায় যতদূর সূর্যকিরণ পৌঁছোয় ততদূর পর্যন্ত তাঁর সাম্রাজ্য।


দশরথের রাজ্যের রাজধানীর কি নাম ছিল?

     দশরথের রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল অযোধ্যা। অযোধ্যা নগরী সরোযু নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। অযোধ্যা নগরী ছিল লম্বায় আটচল্লিশ ক্রোশ এবং চওড়া তে বারো ক্রোশ। অযোধ্যা নগরীর সুরক্ষার জন্য নগরীর চারিদিকে লোহার কাঁটা দেওয়া থাকতো। এবং শতঘনী অস্ত্র দ্বারা নগরী বেষ্টিত ছিল। শতঘনী কথার অর্থ হলো এই অস্ত্র একবার নিঃক্ষেপ করলে একবারে এক শত জন শত্রু বধ করা যেত। এছাড়াও অযোধ্যা নগরী ছিল সুসজ্জিত এবং ফুলের বাগান বেষ্টিত। অযোধ্যা নগরীটি দামি পাথর দ্বারা নির্মিত ছিল। অযোধ্যা রাজপুরি সাদা পাথর দ্বারা নির্মিত ছিল।


রাজা দশরথের রাজসভায় মন্ত্রীবর্গের পরিচয় দাও।

     রাজা দশরথের রাজসভায় ৮ জন মন্ত্রী ছিলেন। তাঁরা খুবই ভালো ভাবে নিজেদের কার্যভার সামলাতেন। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না। এই আটজন মন্ত্রীর নাম হলো... ধৃষ্টি, বিজয়, অকপ, জয়ন্ত, সুমন্ত্র, সুরাষ্ট্র, ধর্মপাল এবং রাষ্ট্রবর্ধন।


দশরথ কন্যা র পরিচয় দাও।

   রাজা দশরথের একমাত্র কন্যার নাম শান্তা। দশরথ এবং রানী কৌশল্যার একমাত্র কন্যা হলেন শান্তা। দশরথ এবং রানী কৌশল্যার মেয়ে হয়ে জন্মালেও শান্তা কে অঙ্গরাজ লোমপাদ এবং তার মহিষী বর্ষিনী ( সম্পর্কে কৌশল্যার ভগিনী ) পোষ্যপুত্রী রূপে গ্রহণ করেন। ঋষি বিভাণ্ডক ও অপ্সরা উর্বশীর পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গকে বিবাহ করে শান্তা তার পালক পিতার রাজ্যকে খরামুক্ত করেন। শান্তার অপর নাম ছিল হেমলতা। মতানুসারে শান্তা ভার্গব রাজার কন্যা তথা দশরথের অপ্রধানা রানীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন।

দশরথ পুত্র দের পরিচয় দাও।

       এগারো দিন পর দশরথ পুত্র দের নামকরণ করেন বশিষ্ট মুনি। দশরথের জেষ্ঠ পুত্র রামচন্দ্র চৈত্র নবমী তিথিতে পুনর্বসু নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন। লক্ষণ এবং শত্রুঘ্ন অশ্লেষা নক্ষত্রে জন্মগ্রহন করেছিলেন। রামের থেকে ভরত ছিলেন একদিনের ছোটো। লক্ষণ আর শত্রুঘ্ন রামের থেকে ২দিনের ছোটো ছিলেন।


দশরথের পুত্রেষ্টি যজ্ঞের থেকে আবির্ভুত পুরুষটির পরিচয় দাও? এবং পুত্রেষ্টি যজ্ঞের ফলাফল কি হয়েছিল?

     পুত্রেষ্টি যজ্ঞ অনল থেকে নির্গত পুরুষটি ছিলেন তেজস্বি। তিনি দেখতে ভয়ঙ্কর ছিলেন। তাঁর দেহ পাহাড়ের মতো উঁচু ছিল। গাত্রবর্ণ বাদামি। চোখ রক্তবর্ণ। গোঁফ ছিল সিংহের কেশরের মতো। তাঁর পরনে ছিলো লাল বস্ত্র। সেই পুরুষটির হাতে ছিল রুপোর ঢাকনা দেওয়া সোনার পাত্র। ব্রহ্মদেব প্রেরিত সেই পাত্রে ছিল পরমান্ন।  সেই পায়েসের ১/২ ভাগ পেয়েছিলেন রানী কৌশল্যা, ১/৮ ভাগ পেয়েছিলেন রানী কৈকেয়ী, রানি সুমিত্রা পেয়েছিলেন ৩/৮ ভাগ। এই পায়েস খেয়ে মহারানী কৌশল্যা ভগবান শ্রীরামচন্দ্রর জন্ম দেন। রানী কৈকেয়ীর গর্ভ থেকে জন্ম নিলেন ভরত। রানী সুমিত্রা যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন তাঁরা হলেন যথাক্রমে লক্ষণ এবং শত্রুঘ্ন।



কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.