Header Ads

Header ADS

সীতার পরিচয় দাও who is sita in ramayana

 সীতার পরিচয় দাও।





সীতা  (অর্থ "হলরেখা")  রামায়ণের কেন্দ্রীয় বা প্রধান নারী চরিত্র যিনি জনকপুরে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী তিনি ছিলেন হিন্দু অবতার শ্রীরামের সঙ্গী এবং লক্ষীর  অবতার, এবং ধনসম্পদের দেবী ও বিষ্ণুর পত্নী। হিন্দুসমাজে তাকে আদর্শ স্ত্রী তথা আদর্শ নারীর উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয়। সীতা মূলত তার উৎসর্গীকরণ, আত্মবিসর্জন, সাহসিকতা এবং বিশুদ্ধতার জন্যে পরিচিত হয়। সীতা নবমীতে সীতা দেবীর জন্ম-উৎসব পালন করা হয়। অদ্ভুত রামায়ণ’ থেকে জানা যায়, সীতা নাকি রাবণ ও মন্দদরীর কন্যা। আবার অন্যত্র বলে রাবণ তার ভ্রাতুষ্পুত্র নলকুবেরের স্ত্রী রম্ভাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করেন। এই ধর্ষণের ফলে রাবণের ঔরসে রম্ভার গর্ভে সীতার জন্ম হয়। তাঁর জন্মের আগে গণকরা জনিয়েছিলেন, তিনি নাকি রাবণের ধ্বংসের কারণ হবেন। তাই রাবণ তাঁকে পরিত্যাগ করেন। ‘আনন্দ রামায়ণ’ নামক গ্রন্থে বলা হয়েছে, রাজা পদ্মাক্ষের কন্যা পদ্মাই নাকি পরবর্তী জন্মে সীতা হন। রাবণ পদ্মার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি আগুনে আত্মঘাতী হন। পরজন্মে তিনিই সীতা হিসবে অবতীর্ণা হন এবং রাবণের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ান। আর একটি প্রচলিত ধারণা এই— সীতা পূর্বজন্মে ছিলেন বেদবতী নামে এক পুণ্যবতী নারী। রাবণ তাঁর শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি রাবণকে অভিশাপ দেন যে, তিনি পরবর্তী জন্মে রাবণকে হত্যা করবেন।রামায়ণে সীতা বহু নামে উল্লিখিতা হয়েছেন। তবে তিনি মূলত সীতা নামেই পরিচিতা। জনকের কন্যা বলে সীতাকে জানকী বলা হয়। মিথিলা রাজ্যের কন্যা হওয়ায় তিনি মৈথিলি নামেও পরিচিতা। এছাড়া তিনি রাম-এর স্ত্রী হওয়ায় তাঁকে রমাও বলা হয়ে থাকে। মাতা সীতা দ্বাপর যুগে রুক্মিণী রূপে অবতীর্ণা হন। বৈশাখ মাসের  শুক্লানবমী তিথিটিকে সীতানবমী বলা হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী এই যে এ দিনেই সীতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উত্তর ভারতে সীতা নবমী একটি অন্যতম প্রধান উৎসব। রামায়ণ অনুসারে, সীতা পৃথিবীর  কন্যা ও জনকের পালিতা কন্যা। রামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে গেলে সীতা তাঁর সঙ্গী হন। সীতা মাতাকে হিন্দুদের দেবী মা লক্ষীর অবতার বলা হয়ে থাকে। তাই তিনি রাবণ কর্তৃক হরণ হওয়ার আগেই বৈকুণ্ঠে চলে যান এবং ছায়া সীতা রেখে যান। পরে রাবন সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে গেলে রাম ও রাবণের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। কিষ্কিন্ধ্যার বানরদের সহায়তায় রাম রাবণকে পরাজিত ও নিহত করে সীতাকে উদ্ধার করেন। সীতা উদ্ধারের পর সীতার অগ্নিপরীক্ষা হয়। সেই সময় অগ্নিদেব ছায়াসীতা  লুকিয়ে আসল সীতাকে প্রকট করেন বলে কথিত আছে। শ্রীরাম রাজা হওয়ার পর মাতা সীতার নামে অযোধ্যায় লোকনিন্দা শুরু হয়। সেই লোক নিন্দা থেকে সীতাকে রক্ষা করতে রাজগুরুর আদেশে শ্রীরাম লক্ষণকে মাতা সীতাকে তপবনে রেখে আসার আদেশ দেন। কারণ, সীতা মাতা গর্ভবতী ছিলেন। বাল্মীকির  তপোবনে সীতা লব ও কুশ নামে দুই যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।পরে রাম সীতাকে দ্বিতীয়বার অগ্নিপরীক্ষা দিতে বললে মর্মাহতা সীতা জননী পৃথিবীর কোলে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ভূগর্ভ থেকে উত্থিতা হয়ে ভূদেবী পৃথিবী সীতাকে নিয়ে পাতালে প্রবেশ করেন।

কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.