বিভীষণ ছিলেন রাবণের ছোট ভাই। রাম আর রাবণের যুদ্ধে তিনি রামের পক্ষ নিয়েছিলেন। বিভীষণ ছিলেন রাবণের ছোট ভাই। রাম আর রাবণের যুদ্ধে তিনি রামের পক্ষ নিয়েছিলেন। বিভীষণের মনে হয়েছে, সীতাকে বন্দী করে তাঁর ভাই রাবণ ভুল করেছেন। তাই ভাইকে ছেড়ে বিরুদ্ধ পক্ষে অবস্থান নেন মনে হয়েছে, সীতাকে বন্দী করে তাঁর ভাই রাবণ ভুল করেছেন। তাই ভাইকে ছেড়ে বিরুদ্ধ পক্ষে অবস্থান নেন তিনি।পুরাণ মতে বিভীষণ ছিলেন শুদ্ধসাত্ত্বিক হৃদয়বান পুরুষ৷ ছোটোবেলা থেকে তিনি প্রায় সময়েই ঈশ্বর সাধনা ও দেবতার ধ্যান করতে পছন্দ করতেন৷ ঘটনাক্রমে ব্রহ্মা তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বরদান করতে চাইলে বিভীষণ দেবতার চরণকমলে নিজের মনোনিবেশ করতে পারার শক্তি চান৷ এবং এই একাগ্র মনঃসংযোগের দ্বারাই তিনি তিনি শ্রীবিষ্ণুর দর্শন চান ও তার চরণস্পর্শ করতে চান বলে বর চান৷ তার এই ইচ্ছা খুব ভালোভাবেই পূর্ণ হয় এবং রামায়ণ মতে বিভীষণ তার সুখ ও আড়ম্বরপূর্ণ জীবন ছেড়ে বিষ্ণুর অবতার শ্রীরামের সাথে সাক্ষাৎকার করেন এবং দুরাচারী হত্যায় তাকে যথাসাধ্য সাহায্য ও সেবা করেন৷ বিভীষণ ছিলেন ঋষি বিশ্রবা ও নিকষার কনিষ্ঠ পুত্র৷ পুলস্ত্য মুনির উত্তরসূরী পৌলস্ত্য হিসাবে তিনি যোগ্য সাত্ত্বিকগুণের সম্পন্ন ছিলেন৷ তিনি লঙ্কার রাজা রাবণ ও নিদ্রার রাজা কুম্ভকর্ণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা, তথা ধনদেবতা কুবের ছিলেন তার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা৷ রাক্ষসী মায়ের কোলে জন্ম হলেও তিনি তার পিতার মতো সতর্ক এবং ধার্মিক ছিলেন এবং নিজেকে ব্রাহ্মণ হিসাবেই নিজেকে গড়ে তোলেন৷ লঙ্কার রাম-রাবণের যুদ্ধে লঙ্কার গুপ্ত তথ্যের বিষয়ে বিভীষণের জ্ঞান রামের যুদ্ধ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ বিভীষণ নিঃসঙ্কোচে লঙ্কাপুরীর অনেক অন্তরালের তথ্য বিষয় রামের সামনে উন্মোচন করেছিলেন যেমন পৌলস্ত্য কুলমাতা নিকুম্ভিলা মন্দির ও যজ্ঞাগারের গুপ্ত রহস্য ফাঁস রামের যুদ্ধজয়ে অন্যতম কারণ ছিলো৷ রাম ও রাবণের মেঘের অন্তরালে যুদ্ধ চলাকালীন রাম রাবণকে চিহ্নিত করতে অক্ষম হয়ে পড়লে তিনিই রাবণের মৃত্যুর পথ তাকে জ্ঞাত করান৷ তিনি রামকে জানান যে রাবণ তার উদরে সঞ্চিত করে রেখেছেন, ফলে সেই সুগন্ধীকে শুষ্ক করা অত্যাবশ্যক৷ অন্তিমে রাম রাবণকে বধ করতে সক্ষম হন৷প্রতীকীভাবে, রামায়ণে বিভীষণ চরিত্রটি ছিলো শ্রীরামের প্রতি আত্মসমর্পণকৃত তার এক ভক্তের৷ চরিত্রটি বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ঈশ্বর তার ভক্তের কুল গোত্র বা জন্মস্থান দেখে ভেদাভেদ করেন না৷যুদ্ধ শেষে রাম যখন অযোধ্যার দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, ঠিক তখনই তিনি নিজের আসল বিষ্ণুরূপে বিভীষণকে দর্শন দেন এবং পৃৃথিবীতে থেকে মানবসেবা করে তাদের সঠিক ধর্মপথের দিশা দেওয়ার দেশ করেন৷ এভাবে বিভীষণ দীর্ঘ অমরত্ব পান।
কোন মন্তব্য নেই
thanks. please visit again