Header Ads

Header ADS

বিশ্বামিত্র মুনির পরিচয় দাও। who is vishwamitra in ramayana

 বিশ্বামিত্র মুনির পরিচয় দাও। 




            ঋগ্বেদ রচয়িতা এক ঋষি বিশ্বামিত্র যাকে মোট ১৮ সূক্তের  একক ও ৬ সূক্তের  সহ রচয়িতা হিসেবে পাওয়া যায় ।সমস্ত বেদ সার যে গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারিত, সেই গায়ত্রী মন্ত্র দষ্টা ঋষি কিন্তু বিশ্বামিত্র ঋষি, যিনি পূর্বে ব্রাহ্মণ ছিলেন না। বিশ্বামিত্র-ই জন্মগত ক্ষত্রিয় রাজা কুশের বংশধর। কুশের বংশে গাধি নামে যে রাজা কান্যাকুজ অঞ্চলে রাজত্ব করতেন, সেই গাধির ছেলে হলেন বিশ্বামিত্র। মহর্ষি বিশ্বামিত্র ছিলেন প্রাচীন ভারতে একজন রাজা। তিনি কৌশিক নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি যোদ্ধা এবং ব্রহ্মার ‍মানসপুত্র প্রজাপতি কুশ নামীয় রাজার প্রপৌত্র ও খুবই ধার্মিক কুশান্যভ রাজার পুত্র গাধি’র সন্তান ছিলেন মহর্ষি বিশ্বামিত্র। বাল্মিকী’র রামায়ণের বাল কাণ্ডের ৫১ চরণে এ বিষয়ে লেখা রয়েছে। গাধিরাজের মৃত্যুর পর বিশ্বামিত্র রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন এবং বীর বিক্রমে রাজ্যশাসন করতে থাকেন। তিনি অতুল ঐশ্বর্য্রও বিপুল ধন-সম্পদের অধিকারী ছিলেন। এছাড়াও, তার শতাধিক পুত্র ও অসংখ্য সৈন্য ছিল। ঋষি বশিষ্টর সঙ্গে যুদ্ধে বিশ্বামিত্র পরাজিত হন। বিশ্বামিত্র এরূপে সৈন্যবিহীন অবস্থায় ও শতপুত্রশোকে কাতর হয়ে নিজ রাজধানীতে ফিরে এসে অবশিষ্ট এক পুত্রের কাঁধে রাজ্যের শাসনভার প্রদান করে বনে গমন করেন ও মহাদেবের কঠোর তপস্যায় মনোনিবেশ করেন। মহাদেব বিশ্বামিত্রের তপস্যায় অতি সন্তুষ্ট হয়ে বর প্রদান করেন। পুনরায় বশিষ্ট মুনির কাছে পরাহত হয়ে বিশ্বামিত্র অস্ত্রবলের চেয়ে ব্রহ্মবলের শ্রেষ্ঠত্ব উপলদ্ধি করেন এবং নিজে ব্রাহ্মণত্ব লাভ করার জন্য চেষ্টা করতে লাগলেন। সেজন্য তিনি পত্নীসহ দক্ষিণে গমন করে কঠোর তপস্যা করতে লাগলেন। এ সময়ে তার আরো তিন পুত্রের জন্ম হয়। অনেক অনেক বছর পরে ব্রহ্মা স্বয়ং উপস্থিত হয়ে বিশ্বামিত্রকে রাজর্ষিত্ব প্রদান করেন। বিশ্বামিত্রের দীর্ঘকালের কঠোর তপস্যায় পরিতুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তার কাছে আসেন ও ঋষিত্ব প্রদান করেন। কিন্তু তাতেও বিশ্বামিত্র পরিতুষ্ট না হয়ে পুনরায় উগ্র তপশ্চরণে প্রবৃত্ত হন। এ সময়ে ইন্দ্রের নির্দেশে অপ্সরারূপী মেনকা ঋষিবরকে তার নগ্ন রূপে বিমোহিত করতে সক্ষম হন এবং তার সহবাসে দশ বৎসর যাপন করেন। এই দশ বৎসর স্বামীর সহিত মেনকার সহবাসের ফলে বিশ্বামিত্র’র ঔরসে মেনকা অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েন। মেনকার গর্ভে শকুন্তলা নাম্নী কন্যার জন্ম হয়। দশ বৎসর পরে চৈতন্য ফিরে পাওয়ায় বিশ্বামিত্র মেনকাকে বিদায় দিয়ে অতি বিষণ্নচিত্তে উত্তরদিকে গমন করেন এবং হিমাচলে কৌশিকী নদীর তীরে পুনরায় কঠোর তপশ্চরণে প্রবৃত্ত হন।

কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.