Header Ads

Header ADS

মৃত্যুর দেবতা যম -- কিন্তু হিন্দু পুরাণে যম রয়েছেন ১৪ জন , তারা কারা ?

 মৃত্যুর দেবতা যম -- কিন্তু  হিন্দু পুরাণে যম রয়েছেন ১৪ জন , তারা কারা ?


মানুষ মাত্রই মরণশীল। অর্থাৎ এই পৃথিবীতে সব মানুষের মরণ হবেই। আর মৃত্যুর দেবতা হলেন যমযম হলেন - সূর্যদেবের পুত্র। এই সূর্যদেব হচ্ছেন জীবের জন্মদাতা অথচ তার পুত্র যম মৃত্যুর দেবতা।তিনি  কাল ও ধর্মরাজ নামেও পরিচিত, মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের হিন্দু দেবতা, এবং তাঁর বাসস্থান যমলোকে। তিনি প্রায়ই ধর্মের সাথে চিহ্নিত হন, যদিও তাদের ভিন্ন ভিন্ন উৎপত্তি ও পুরাণ আছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে নরকের অধিপতি

আমরা সবাই জানি জন্মের পর শৈশব, যৌবন, বার্ধক্য তারপরই আসে সাধারন অবস্থায় মৃত্যু। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর পর যমরাজ প্রেরিত দূত এসে যিনি মারা যান তাকে নিয়ে যান। এখানে শুধুমাত্র আত্মাকে নিয়ে যান। আর যে দূত সেই আত্মাকে নিতে আসেন তাকে বলা হয়  যমের দূত বা যমদূত। 
কিন্তু একজন নয়। মোট ১৪ জন যমের কথা উল্লেখ রয়েছে হিন্দু পুরাণে। অবিশ্বাস্য না তথ্যটি?

ধন ত্রয়োদশী’র পরের দিনটি ‘ভূত চতুর্দশী’। নাম থেকেই, আশা করি, ওজনটা আন্দাজ করা যাচ্ছে! উৎসবটা নিতান্তই বাঙালীর, তাই অনেকে একে ‘বাংলার হ্যালোউইন’ও বলে থাকেন। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘যম চতুর্দশী’ বা ‘নরক চতুর্দশী’। ১৪ জন যমের প্রসঙ্গটি এই তিথিকে ঘিরেই রয়েছে। আর সেই কারণেই তিথিটিকে যম চতুর্দশী বলা হয়। ‘ধর্মরাজ’, ‘মৃত্যু’, ‘অন্তক’, ‘বৈবস্বত’, ‘কাল’, ‘সর্বভূতক্ষয়’, ‘যম’, ‘উডুম্বর’, ‘দধ্ন’, ‘নীন’, ‘পরমেষ্ঠী’, ‘বৃকোদর’, ‘চিত্র’ ও ‘চিত্রগুপ্ত’। এঁরাই হলেন এ যাবৎকালের ১৪ জন যমরাজ।

ভূত চতুর্দশীর দিন এই ১৪ জন যমকে উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচলিত থাকার কারণেই তিথিটির অন্য নাম যম চতুর্দশী। পদ্মপুরাণে’ স্পষ্টই উল্লেখিত, ‘যম চতুর্দশী’তে গঙ্গাস্নান করলে মৃত্যুর পর আর নরক দেখতে হয়না। অন্য মতে, ধনত্রয়োদশীর রাতে রাজা হিমার পুত্রের প্রাণ নিতে এসে ব্যর্থ হন যম। অতঃপর এইদিনেই ফিরে যেতে হয় তাঁকে।



কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.