শিবের সাজসজ্জায় সর্প কেন । snake in decoration of god shiva । কেন গলায় সাপ জডা়নো শিবের?
মহাভারত অনুযায়ী মহর্ষি কশ্যপের স্ত্রী ছিলেন কদ্রু। তিনি নিজের স্বামী মহর্ষি কশ্যপের সেবা করতেন। তাঁর সেবা দেখে কদ্রুকে বরদান চাইতে বলেন মহর্ষি। এর পরই ১ হাজার পরাক্রমী সর্পের মা হওয়ার আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন কদ্রু। মহর্ষি কশ্যপের বরদান স্বরূপই নাগ বংশের উৎপত্তি হয়।
প্রচলিত আছে, কদ্রু কশ্যপ ঋষির কাছ থেকে ৮টি পুত্র লাভ করেন। এঁদের নাম অনন্ত (শেষ), বাসুকী, তক্ষক, কর্কোটক, পদ্ম, মহাপদ্ম, শঙ্খ ও কুলিক। এঁদেরকেই নাগের প্রমুখ অষ্টকুল বলা হয়। তবে কিছু কিছু পুরাণ অনুযায়ী নাগের অষ্টকুল হল- বাসুকী, তক্ষক, কুলক, কর্কোটক, পদ্ম, শঙ্খ, চূড়, মহাপদ্ম ও ধনঞ্জয়। কোনও কোনও কাহিনীতে আবার নাগ ও সর্পের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। সমস্ত নাগ কদ্রুর পুত্র ছিলেন। অন্যদিকে কশ্যপের ক্রোধবশা নামক রানি ছিলেন সর্প। কশ্যপের ক্রোধবশা রানি সাপ, বিছে ইত্যাদি বিষাক্ত জীব জন্ম দেন। অগ্নিপুরাণে ৮০ ধরনের নাগকুলের বর্ণনা পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাসুকী, তক্ষক, পদ্ম, মহাপদ্ম প্রসিদ্ধ।
শিবের গলায় জড়িয়ে থাকে নাগ বাসুকী
শেষনাগ বিষ্ণুর এবং তার ছোট ভাই বাসুকী শিবের সেবক হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। শিবের গলায় বাসুকী নাগ থাকে। শিব পুরাণ অনুযায়ী নাগলোকের রাজা বাসুকী শিবের পরম ভক্ত। সাগর মন্থনের সময় বাসুকীই দড়ির কাজ করেন। বাসুকী শিবের পরম ভক্ত ছিলেন, সর্বদা তাঁর ভক্তিতেই মগ্ন থাকতেন। এতে প্রসন্ন হয়ে শিব তাকে নিজের গলায় আভূষণের মতো জড়িয়ে নেন। মনে করা হয় নাগজাতির লোকেরাই সর্বপ্রথম শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন। বাসুকীর ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে নিজের গণের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেন।
সমুদ্র মন্থনের সময় বাসুকী নাগকেই মেরু পর্বতের চার পাশে জড়িয়ে দড়ির মতো ব্যবহার করা হয়। একদিক থেকে দেবতা এবং অপর দিক থেকে অসুররা বাসুকীকে ধরে সমুদ্র মন্থন করে। এর ফলে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান বাসুকী। বাসুকীর ভক্তি দেখে শিব প্রসন্ন হন।
সর্পঃ যোগ সংস্কৃতিতে সাপ হল কুন্ডলিনীর প্রতীক, যা আপনার মধ্যে অব্যক্ত শক্তি। কুন্ডলিনীর প্রকৃতি এমন যে এটি যখন স্থির থাকে আপনি জানেতেই পারেন না যে এটি বিদ্যমান। শুধুমাত্র যখন এটি নড়াচড়া করে, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার মধ্যে অনেক শক্তি রয়েছে। যতক্ষণ না এটি চলাচল করে এটি প্রায় অস্তিত্বহীন। এই কারণে, কুন্ডলিনীকে একটি সাপ হিসাবে প্রতীকী করা হয়, কারণ একটি কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ নড়াচড়া না করলে দেখা খুব কঠিন। একইভাবে, আপনি এই কুণ্ডলীকৃত শক্তি দেখতে পাবেন না যদি না এটি চলাচল করে। যদি আপনার কুন্ডলিনী উদ্দীপিত হয়, তাহলে আপনার সাথে অলৌকিকসব ঘটনা ঘটবে যা আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। তখন একটি সম্পূর্ণ নতুন স্তরের শক্তির উন্মোচন শুরু হয় এবং আপনার শরীর এবং সবকিছু সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে আচরণ করে। এটিই শিব এবং একটি সাপের প্রতীকের কারণ। এটি ইঙ্গিত দেয় যে তার শক্তি শীর্ষে পৌঁছেছে। অতীন্দ্রিয়বাদ এবং সাপকে আলাদা করা যায় না, কারণ এই প্রাণীটি উপলব্ধির একটি নির্দিষ্ট মাত্রা দিয়ে এসেছে।
নাগ বা সর্পঃ - মহাদেবের গলায় ও মাথায় নাগের উপস্থিতি সর্বদা দেখা যায়, যা পুরুষের অহংকারের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷
প্রচলিত আছে, কদ্রু কশ্যপ ঋষির কাছ থেকে ৮টি পুত্র লাভ করেন। এঁদের নাম অনন্ত (শেষ), বাসুকী, তক্ষক, কর্কোটক, পদ্ম, মহাপদ্ম, শঙ্খ ও কুলিক। এঁদেরকেই নাগের প্রমুখ অষ্টকুল বলা হয়। তবে কিছু কিছু পুরাণ অনুযায়ী নাগের অষ্টকুল হল- বাসুকী, তক্ষক, কুলক, কর্কোটক, পদ্ম, শঙ্খ, চূড়, মহাপদ্ম ও ধনঞ্জয়। কোনও কোনও কাহিনীতে আবার নাগ ও সর্পের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। সমস্ত নাগ কদ্রুর পুত্র ছিলেন। অন্যদিকে কশ্যপের ক্রোধবশা নামক রানি ছিলেন সর্প। কশ্যপের ক্রোধবশা রানি সাপ, বিছে ইত্যাদি বিষাক্ত জীব জন্ম দেন। অগ্নিপুরাণে ৮০ ধরনের নাগকুলের বর্ণনা পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাসুকী, তক্ষক, পদ্ম, মহাপদ্ম প্রসিদ্ধ।
শিবের গলায় জড়িয়ে থাকে নাগ বাসুকী
শেষনাগ বিষ্ণুর এবং তার ছোট ভাই বাসুকী শিবের সেবক হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। শিবের গলায় বাসুকী নাগ থাকে। শিব পুরাণ অনুযায়ী নাগলোকের রাজা বাসুকী শিবের পরম ভক্ত। সাগর মন্থনের সময় বাসুকীই দড়ির কাজ করেন। বাসুকী শিবের পরম ভক্ত ছিলেন, সর্বদা তাঁর ভক্তিতেই মগ্ন থাকতেন। এতে প্রসন্ন হয়ে শিব তাকে নিজের গলায় আভূষণের মতো জড়িয়ে নেন। মনে করা হয় নাগজাতির লোকেরাই সর্বপ্রথম শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন। বাসুকীর ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে নিজের গণের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেন।
সমুদ্র মন্থনের সময় বাসুকী নাগকেই মেরু পর্বতের চার পাশে জড়িয়ে দড়ির মতো ব্যবহার করা হয়। একদিক থেকে দেবতা এবং অপর দিক থেকে অসুররা বাসুকীকে ধরে সমুদ্র মন্থন করে। এর ফলে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান বাসুকী। বাসুকীর ভক্তি দেখে শিব প্রসন্ন হন।
সর্পঃ যোগ সংস্কৃতিতে সাপ হল কুন্ডলিনীর প্রতীক, যা আপনার মধ্যে অব্যক্ত শক্তি। কুন্ডলিনীর প্রকৃতি এমন যে এটি যখন স্থির থাকে আপনি জানেতেই পারেন না যে এটি বিদ্যমান। শুধুমাত্র যখন এটি নড়াচড়া করে, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার মধ্যে অনেক শক্তি রয়েছে। যতক্ষণ না এটি চলাচল করে এটি প্রায় অস্তিত্বহীন। এই কারণে, কুন্ডলিনীকে একটি সাপ হিসাবে প্রতীকী করা হয়, কারণ একটি কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ নড়াচড়া না করলে দেখা খুব কঠিন। একইভাবে, আপনি এই কুণ্ডলীকৃত শক্তি দেখতে পাবেন না যদি না এটি চলাচল করে। যদি আপনার কুন্ডলিনী উদ্দীপিত হয়, তাহলে আপনার সাথে অলৌকিকসব ঘটনা ঘটবে যা আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। তখন একটি সম্পূর্ণ নতুন স্তরের শক্তির উন্মোচন শুরু হয় এবং আপনার শরীর এবং সবকিছু সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে আচরণ করে। এটিই শিব এবং একটি সাপের প্রতীকের কারণ। এটি ইঙ্গিত দেয় যে তার শক্তি শীর্ষে পৌঁছেছে। অতীন্দ্রিয়বাদ এবং সাপকে আলাদা করা যায় না, কারণ এই প্রাণীটি উপলব্ধির একটি নির্দিষ্ট মাত্রা দিয়ে এসেছে।
নাগ বা সর্পঃ - মহাদেবের গলায় ও মাথায় নাগের উপস্থিতি সর্বদা দেখা যায়, যা পুরুষের অহংকারের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷
কোন মন্তব্য নেই
thanks. please visit again