শিবের ত্রিশূল কি ? কেনই বা তা থাকে ? about trishul of God Shiva
ত্রিশূল /বিশেষ্য পদ/ শিবের আয়ুধ ইহা তিনটি ফলক যুক্ত।
ত্রিশূল ( त्रिशूल) হলো ধারালো তিনটি বর্শার ফলাযুক্ত একটি অস্ত্রবিশেষ, যা সাধারণভাবে হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্মে শুভ চিহ্ন হিসাবে পরিগণিত হয়৷
আপনি নিশ্চয়ই হিন্দু দেবতা শিবের অনেক ভাস্কর্যে ত্রিশূল লক্ষ্য করেছেন। আমরা যখনই শিবের প্রতিকৃতি দেখি তখনই এটি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে। সাধারণত একটি অস্ত্র হিসাবে দেখা হয়, ভগবান শিবের এই ঐশ্বরিক তিনটি ফলকযুক্ত বর্শা।
ত্রিশূল হলো বহুযোজীতা এবং সমৃৃদ্ধির প্রতীক৷ এটি মূলক ভগবান শিবের চিহ্নরূপে তার হাতে বিরাজমান থাকে৷ পুরাণ মতে নিজপুত্র গণেশ -এর অহংকার এবং ঔদ্ধত্য দেখে ক্রোধের বশে তিনি এই ত্রিশূল দিয়েই গণেশের শিরোচ্ছেদ করেছিলেন৷ দেবী দূর্গাও তার অন্যান্য অস্ত্রের সাথে ত্রিশূল ধারণ করেন৷ ত্রিশূলের তিনটি ফলার একাধিক অর্থ ও গূরুত্ব রয়েছে৷ এটি হিন্দূ ধর্মাবলম্বীদের খুব সাধারণ একটি বিষয় এবং এর তাৎপর্যের পেছনে একাধিক পুস্তকে বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে৷
ত্রিশূলঃ শিবের ত্রিশূল জীবনের তিনটি মৌলিক দিককে উপস্থাপন করে। যোগ সংস্কৃতিতে একে রুদ্র, হর ও সদাশিব বলা হয়। এগুলি জীবনের তিনটি মৌলিক মাত্রা যা বিভিন্ন উপায়ে প্রতীকী। এদেরকে ইড়া, পিঙ্গলা এবং সুষুম্নাও বলা যেতে পারে। এই তিনটি হলো মৌলিক নাড়ি - বাম, ডান এবং কেন্দ্রীয় - প্রাণময় কোষ বা মানব গঠনতন্ত্রের শক্তি শরীর। নাড়ী হল গঠনতন্ত্রের প্রাণের পথ বা চ্যানেল। শরীরে ৭২,০০০টি নাড়ি রয়েছে যা তিনটি মৌলিক নাড়ি থেকে উৎপন্ন হয়। এই নাড়িগুলির কোনও ভৌত প্রকাশ নেই। লাশ কেটে ভেতরে তাকালেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আপনি যত বেশি সচেতন হবেন, আপনি লক্ষ্য করবেন যে শক্তি এলোমেলোভাবে চলাচল করছে না, এটি প্রতিষ্ঠিত পথে চলছে। ৭২,০০০টি বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেখানে শক্তি বা প্রাণ চলে। পিঙ্গলা এবং ইড়া অস্তিত্বের মৌলিক দ্বৈতভাবের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এই দ্বৈততা যা আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শিব এবং শক্তি হিসাবে প্রকাশ করি। আপনি এটিকে কেবল পুরুষ সত্তা এবং স্ত্রী সত্তা বলতে পারেন, অথবা এটি আপনার যৌক্তিক এবং স্বজ্ঞাত দিক হতে পারে। এর উপর ভিত্তি করেই জীবন সৃষ্টি হয়। এই দুটি দ্বৈততা ব্যতীত জীবন এখনকার মতো বিদ্যমান থাকত না। একদম শুরুতে সবকিছুই মৌলিক, কোনো দ্বৈততা নেই। কিন্তু একবার সৃষ্টি হলে দ্বৈততা রয়েছে।
১) শিবপুরাণ অনুসারে শিব হলেন স্বয়ম্ভু যিনি নিজের চেতনায় নিজ ইচ্ছায় সৃৃষ্ট হন৷ তিনি সদাশিবের সরাসরি অবতার রূপে উত্থিত হন এবং সৃষ্টির প্রথম থেকে ত্রিশূল তার সঙ্গী৷
২) মহাদেবের অস্ত্র তৈরির ভার পড়ার পরে বিশ্বকর্মা অত্যন্ত চিন্তায় পড়েন। কারণ অস্ত্র তৈরি করতে হলে তা মহাদেবের উপযুক্ত হতে হবে। তার ক্ষমতাও হতে হবে বিরাট। শক্তির উৎস হতে হবে চিরকালীন। ঘটনাক্রমে সেই চিন্তার সমাধানসূত্রও মেলে। বিশ্বকর্মার কন্যা সংজ্ঞার সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল সূর্যের। অথচ সূর্যের প্রবল তেজের কারণে সংজ্ঞা পড়ছিলেন বিড়ম্বনায়। তখন বিশ্বকর্মা আটভাগে সূর্যকে ভাগ করেন ও সূর্যের তেজের সাহায্যে দেবতাদের অস্ত্র নির্মাণ করেন। এমনই এক শক্তিশালী অস্ত্র ছিল ত্রিশূল। ফলে সূর্যের তেজও কিছুটা কমে। সূর্যপত্নী সংজ্ঞা স্বস্তি লাভ করেন।
৩) অনেকক্ষেত্রে ত্রিশূলকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ত্রিরত্নের সাথেও তুলনা করা হয়ে থাকে৷
৪) দেবী দুর্গা তার অন্যান্য হাতে একাধিক অস্ত্রের সাথে ত্রিশূলও ধারণ করেন৷ দেবজ্যোতির পুঞ্জীভবনে উৎপন্ন হওয়ার পর মহিষাসুর বধের জন্য বিভিন্ন দেবতা তাকে বিভিন্ন অস্ত্রদান করেন৷ ভগবান শিব তাকে এই ত্রিশূলটি দান করেছিলেন৷ শ্বেতবরাহ কল্পে দেবী মহিষাসুরকে ত্রিশূল দিয়েই বধ করেন৷ পরবর্তীকালে শিব; দেবী তথা পার্বতীতে পত্নীরূপে গ্রহণ করেন৷
৫) নেপালের সাম্যবাদী দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নির্বাচনী চিহ্নটি হলো ত্রিশূল৷
৬) রোমানি ভাষায় ত্রিশূলের সমোচ্চারিত শব্দ ত্রিশেল শব্দটির অর্থ ক্রস বা ক্রুশ৷
মহাদেবের ত্রিশূল (Trishul) তিনটি শক্তির প্রতীক। জ্ঞান, ইচ্ছা ও সম্মতি প্রদান করেন মহাদেব। আবার কথিত আছে, শিবের ত্রিশূল প্রতিটি মানুষকে তার কর্ম হিসেবে শাস্তি দেয়। ঘরে সুখ শান্তি বৃদ্ধি করত ত্রিশূল রাখুন। অনেকে শিবের মূর্তির পাশে ত্রিশূল (Trishul) রেখে থাকেন। কথিত আছে, পাপ মুক্ত হলে প্রতিদিন শিবের ত্রিশূলের পুজো করা হয়। এটি সমস্ত ক্ষতি ও দুঃখের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
ডমরু - শিবের ত্রিশূলে সব সময় বাঁধা থাকে ডমরু। এই ডমরু বেদ এবং তার উপদেশের প্রতীক যা আমাদের জীবনে এগিয়ে চলার রাস্তা দেখায়
ত্রিশূল ( त्रिशूल) হলো ধারালো তিনটি বর্শার ফলাযুক্ত একটি অস্ত্রবিশেষ, যা সাধারণভাবে হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্মে শুভ চিহ্ন হিসাবে পরিগণিত হয়৷
আপনি নিশ্চয়ই হিন্দু দেবতা শিবের অনেক ভাস্কর্যে ত্রিশূল লক্ষ্য করেছেন। আমরা যখনই শিবের প্রতিকৃতি দেখি তখনই এটি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে। সাধারণত একটি অস্ত্র হিসাবে দেখা হয়, ভগবান শিবের এই ঐশ্বরিক তিনটি ফলকযুক্ত বর্শা।
ত্রিশূল হলো বহুযোজীতা এবং সমৃৃদ্ধির প্রতীক৷ এটি মূলক ভগবান শিবের চিহ্নরূপে তার হাতে বিরাজমান থাকে৷ পুরাণ মতে নিজপুত্র গণেশ -এর অহংকার এবং ঔদ্ধত্য দেখে ক্রোধের বশে তিনি এই ত্রিশূল দিয়েই গণেশের শিরোচ্ছেদ করেছিলেন৷ দেবী দূর্গাও তার অন্যান্য অস্ত্রের সাথে ত্রিশূল ধারণ করেন৷ ত্রিশূলের তিনটি ফলার একাধিক অর্থ ও গূরুত্ব রয়েছে৷ এটি হিন্দূ ধর্মাবলম্বীদের খুব সাধারণ একটি বিষয় এবং এর তাৎপর্যের পেছনে একাধিক পুস্তকে বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে৷
ত্রিশূলঃ শিবের ত্রিশূল জীবনের তিনটি মৌলিক দিককে উপস্থাপন করে। যোগ সংস্কৃতিতে একে রুদ্র, হর ও সদাশিব বলা হয়। এগুলি জীবনের তিনটি মৌলিক মাত্রা যা বিভিন্ন উপায়ে প্রতীকী। এদেরকে ইড়া, পিঙ্গলা এবং সুষুম্নাও বলা যেতে পারে। এই তিনটি হলো মৌলিক নাড়ি - বাম, ডান এবং কেন্দ্রীয় - প্রাণময় কোষ বা মানব গঠনতন্ত্রের শক্তি শরীর। নাড়ী হল গঠনতন্ত্রের প্রাণের পথ বা চ্যানেল। শরীরে ৭২,০০০টি নাড়ি রয়েছে যা তিনটি মৌলিক নাড়ি থেকে উৎপন্ন হয়। এই নাড়িগুলির কোনও ভৌত প্রকাশ নেই। লাশ কেটে ভেতরে তাকালেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আপনি যত বেশি সচেতন হবেন, আপনি লক্ষ্য করবেন যে শক্তি এলোমেলোভাবে চলাচল করছে না, এটি প্রতিষ্ঠিত পথে চলছে। ৭২,০০০টি বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেখানে শক্তি বা প্রাণ চলে। পিঙ্গলা এবং ইড়া অস্তিত্বের মৌলিক দ্বৈতভাবের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এই দ্বৈততা যা আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শিব এবং শক্তি হিসাবে প্রকাশ করি। আপনি এটিকে কেবল পুরুষ সত্তা এবং স্ত্রী সত্তা বলতে পারেন, অথবা এটি আপনার যৌক্তিক এবং স্বজ্ঞাত দিক হতে পারে। এর উপর ভিত্তি করেই জীবন সৃষ্টি হয়। এই দুটি দ্বৈততা ব্যতীত জীবন এখনকার মতো বিদ্যমান থাকত না। একদম শুরুতে সবকিছুই মৌলিক, কোনো দ্বৈততা নেই। কিন্তু একবার সৃষ্টি হলে দ্বৈততা রয়েছে।
১) শিবপুরাণ অনুসারে শিব হলেন স্বয়ম্ভু যিনি নিজের চেতনায় নিজ ইচ্ছায় সৃৃষ্ট হন৷ তিনি সদাশিবের সরাসরি অবতার রূপে উত্থিত হন এবং সৃষ্টির প্রথম থেকে ত্রিশূল তার সঙ্গী৷
২) মহাদেবের অস্ত্র তৈরির ভার পড়ার পরে বিশ্বকর্মা অত্যন্ত চিন্তায় পড়েন। কারণ অস্ত্র তৈরি করতে হলে তা মহাদেবের উপযুক্ত হতে হবে। তার ক্ষমতাও হতে হবে বিরাট। শক্তির উৎস হতে হবে চিরকালীন। ঘটনাক্রমে সেই চিন্তার সমাধানসূত্রও মেলে। বিশ্বকর্মার কন্যা সংজ্ঞার সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল সূর্যের। অথচ সূর্যের প্রবল তেজের কারণে সংজ্ঞা পড়ছিলেন বিড়ম্বনায়। তখন বিশ্বকর্মা আটভাগে সূর্যকে ভাগ করেন ও সূর্যের তেজের সাহায্যে দেবতাদের অস্ত্র নির্মাণ করেন। এমনই এক শক্তিশালী অস্ত্র ছিল ত্রিশূল। ফলে সূর্যের তেজও কিছুটা কমে। সূর্যপত্নী সংজ্ঞা স্বস্তি লাভ করেন।
৩) অনেকক্ষেত্রে ত্রিশূলকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ত্রিরত্নের সাথেও তুলনা করা হয়ে থাকে৷
৪) দেবী দুর্গা তার অন্যান্য হাতে একাধিক অস্ত্রের সাথে ত্রিশূলও ধারণ করেন৷ দেবজ্যোতির পুঞ্জীভবনে উৎপন্ন হওয়ার পর মহিষাসুর বধের জন্য বিভিন্ন দেবতা তাকে বিভিন্ন অস্ত্রদান করেন৷ ভগবান শিব তাকে এই ত্রিশূলটি দান করেছিলেন৷ শ্বেতবরাহ কল্পে দেবী মহিষাসুরকে ত্রিশূল দিয়েই বধ করেন৷ পরবর্তীকালে শিব; দেবী তথা পার্বতীতে পত্নীরূপে গ্রহণ করেন৷
৫) নেপালের সাম্যবাদী দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নির্বাচনী চিহ্নটি হলো ত্রিশূল৷
৬) রোমানি ভাষায় ত্রিশূলের সমোচ্চারিত শব্দ ত্রিশেল শব্দটির অর্থ ক্রস বা ক্রুশ৷
মহাদেবের ত্রিশূল (Trishul) তিনটি শক্তির প্রতীক। জ্ঞান, ইচ্ছা ও সম্মতি প্রদান করেন মহাদেব। আবার কথিত আছে, শিবের ত্রিশূল প্রতিটি মানুষকে তার কর্ম হিসেবে শাস্তি দেয়। ঘরে সুখ শান্তি বৃদ্ধি করত ত্রিশূল রাখুন। অনেকে শিবের মূর্তির পাশে ত্রিশূল (Trishul) রেখে থাকেন। কথিত আছে, পাপ মুক্ত হলে প্রতিদিন শিবের ত্রিশূলের পুজো করা হয়। এটি সমস্ত ক্ষতি ও দুঃখের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
কোন মন্তব্য নেই
thanks. please visit again