Header Ads

Header ADS

জন্মান্তরবাদ আছে ? জন্মান্তরবাদ কী?

জন্মান্তরবাদ আছে ? যে সত্য তার প্রমাণ কি?





জন্মান্তরবাদ বা পুনর্জন্ম যে সত্য, মানুষ বা জীবের আত্মা যে বার বার জন্মগ্রহণ করে সে সম্পর্কে শাস্ত্রে বলা আছে,
জীবাত্মা মানবদেহ পাওয়ার পূর্বে
জলজ জীব রূপে ৯ লক্ষ বার
গাছপালা রূপে ২০ লক্ষ বার
কীটপতঙ্গ রূপে ১১ লক্ষ বার
পাখী রূপে ১০ লক্ষ বার
পশু রূপে ৩০ লক্ষ বার জন্মগ্রহণের পর 
মানুষ রূপে 4 লক্ষ বারের অধিক (+ +)
মোট = ৮৪ লক্ষ রকম
বিঃদ্রঃ ৮০ লক্ষ প্রজাতির জীবকে মানবেতর প্রাণী বলা হয়। জন্মগ্রহণ করে এবং ৮০ লক্ষ বার জন্মের পর মানবরূপ পায়।

অর্থাৎ সরলতম জীব থেকে বহুকোষী জটিল জীবে পরিণত হয়।

বিজ্ঞানী ডারউইন ও তার বিবর্তন বাদ তত্ত্বে বলে গেছেন,"এককোষী সরলতম জীব থেকে লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের মাধ্যমে বহুকোষী জটিলতম জীব মানুষের সৃষ্টি! এর এক ব্যাখ্যার তিনি মানুষ রূপে জন্মের পূর্বের ধাপকে বানর/শিম্পাঞ্জি হিসেবে(সনাতন হিন্দুধর্ম মতে পশুরূপে জন্ম) উল্লেখ করেছেন।

এতো গেলো বিজ্ঞানের কথা।এবার আসুন আমাদের বিবেকের বাণীতে,
ঈশ্বর যদি জীবাত্মাকে বারবার জন্ম না দিতেন অর্থাৎ জন্মান্তর না থাকতো তাহলে ভিন্ন ভিন্ন মানুষকে কেন ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে জন্মাতে হয়?
সকল মানব শিশুই যদি পাপহীন জন্ম শুরু করে তাহলে কোন শিশুকে কেন পথেঘাটে,গরীব ঘরে আবার কোন শিশুকে কেন ধনীর সুখের মধ্যে জন্মাতে হয়??
কেন শিশুগুলো ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে জন্মনেয়?একজন ধনীর ঘরের জন্ম নেয়া একদিনের বাচ্চা আর গরীবের ঘরে জন্ম নেয়া একদিনের বাচ্চার তফাৎ শুধু জন্ম নেয়া।
তাহলে কেন একজনকে জীবনযুদ্ধে আর আরেকজনকে জীবন উপভোগে ফেলা হলো??

এর উত্তর হলো পুনর্জন্ম। পূর্বজন্মের কর্মফল অনুযায়ী জীবাত্মা ধনী,গরীব,ভালো,মন্দ,সম্মান,গৌরবান্বিত দেহ ধারণ করে।

এখানে অনেক বিধর্মী হয়তো বলবে, সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষা নেয়ার জন্য কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেন।
আরে,পরীক্ষা নিতে হলে তো সকল পরীক্ষার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া উচিত।জন্ম থেকেই বাধাসৃষ্টি করলে তো সমান সুযোগ হয় না।
পরীক্ষার নামে কাউকে এক্সট্রা সুযোগ দিলে আর কাউকে সুযোগহীন করে দিলে তো পরীক্ষকের যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

কোন মন্তব্য নেই

thanks. please visit again

Blogger দ্বারা পরিচালিত.