সত্যবতী হলেন মহাভারতে বর্ণিত হস্তীনাপুরের কুরুরাজ শান্তনুর মহিষী। তিনি কৌরব ও পান্ডব দের প্রপিতামহী এবং তিনি বেদব্যাসের জননী । সত্যবতী চেদীরাজ উপরিচড় বসু এবং শাপগ্রস্তা মৎস্যরূপিণী অপ্সরা অদ্রিকার কন্যা। হরিবংশ অনুসারে সত্যবতী তার পূর্বজন্মে অচ্ছোদা নামে পিতৃগণের কন্যা ছিলেন যিনি শাপগ্রস্তা হয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেন। মহাভারত অনুসারে সত্যবতী শাপগ্রস্তা অপ্সরা অদ্রিকার কন্যা। অভিশাপের কারণে অদ্রিকা মৎস্যে পরিণত হয়ে যমুনায় বাস করত। একদা দাশ নামক ধীবরের জালে ধরা পরে যে তার গর্ভ থেকে দুটি সন্তান পায়। সে শিশুদুটিকে রাজার কাছে নিয়ে গেলে রাজা পুত্র সন্তানটিকে গ্রহণ করেন এবং কন্যা সন্তানটিকে দাশকে পালন করতে দেন। সত্যবতী বড় হয়ে তার বাবার আদেশে ধর্মার্থে নৌকা বাইতে লাগলেন।তার গায়ে তীব্র মাছের গন্ধ থাকায় তার আরেক নাম 'মৎস্যগন্ধা'। নৌকা তে প্রথম যৌবনে সত্যবতী পরাশর মুনির সঙ্গে মিলিত হন ফলে ব্যাসদেবের জন্ম হয়। পরাশর মুনির সঙ্গে মিলনের পর সত্যবতীর গায়ে মাছের গন্ধ চলে গিয়ে সুগন্ধ ময় হয়ে ওঠে আর সেই সুগন্ধ এক যোজন দূর থেকেও অনুভূত হতো। তাই সত্যবতীর অপর নাম "যোজন গন্ধা "। পরবর্তীতে রাজা শান্তনু তার সৌন্দর্য ও গায়ের সৌরভে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়েন এবং দাশরাজের কাছে বিবাহের প্রস্তাব করলে দাশ বলেন যদি তার কন্যার সন্তানেরা রাজা হন তবেই তিনি কন্যাদান করবেন। এজন্য শান্তনুর জ্যেষ্ঠপুত্র ভীষ্ম রাজা হননি। সত্যবতী শান্তনুর মাধ্যমে বিচিত্রবীর্য এবং চিত্রাঙ্গদের জন্ম দেন। তিনি পাণ্ডুর মৃত্যুর পর তার পুত্র ব্যাসের আশ্রমে তপস্যারত অবস্থায় মারা যান।
কোন মন্তব্য নেই
thanks. please visit again