মূল মহাভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো শিখণ্ডী। শিখণ্ডী হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের একটি চরিত্র। দ্রুপদ কন্যা ও দ্রৌপদীর বড় বোন। পূর্বজন্মে শিখণ্ডী ছিলেন কাশীরাজার বড় মেয়ে অম্বা । হস্তিনাপুরের রাজা বিচিত্রবীর্য এর সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ভীষ্ম তাঁর দুই বোনসহ তাঁকে স্বয়ম্বর সভা থেকে জয় করে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি সুবলের রাজ শাল্বকে ভালোবাসেন জেনে বিচিত্রবীর্য তাঁকে বিয়ে করেননি। শাল্বও পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় তাঁর দুর্দশার জন্য তিনি ভীষ্মকে দায়ী করেন এবং ভীষ্মের মৃত্যু কামনায় সাধনা করে শিবের বর লাভ করে শিখণ্ডী নামে দ্রুপদ রাজার মেয়ে হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশবে শিখণ্ডী রাজপ্রাসাদের ফটকে রাখা একটা মালা গলায় পড়ে দ্রুপদের কাছে এলে দ্রুপদ বুঝতে পারে শিখণ্ডীই অম্বা। কারণ কার্ত্তিকের প্রদত্ত চিরসবুজ পদ্মের মালাটি শুধু অম্বাই পরতে পারতো। তখন রাজা ভীষ্মের আক্রমণ এড়ানোর জন্য শিখণ্ডীকে বনে থাকার ব্যবস্থা করেন। সেখানে শিখণ্ডী সাধনা করে স্থুণাকর্ণ নামে এক যক্ষের কাছ থেকে পুরুষত্ব লাভ করে। এরপর শিখণ্ডী বন থেকে রাজ প্রাসাদে ফিরে আসে। বিয়ে করে সংসারী হয়। তার ঔরসে ক্ষত্রদেবের জন্ম হয়। কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে শিখণ্ডী পুরুষ যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করে। ভীষ্মের সাথে যুদ্ধের সময় ভীষ্ম তাকে দ্রুপদের মেয়ে হিসেবে জানতে পেরে অস্ত্রপরিত্যাগ করে শরাক্রান্ত হয়ে শরশয্যায় শায়িত হয় এবং মৃত্যুবরণ করে। যুদ্ধের অষ্টাদশ দিনে অশ্বত্থামার সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে শিখণ্ডীমৃত্যুবরণ করে।
কোন মন্তব্য নেই
thanks. please visit again